আজ শুক্রবার, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

খালেদা-হাসিনার চেয়ে নিজেকে বড় নেতা মনে করেন মামুনুল হক

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা বড় নেতা না আমি বড় নেতা? আমি বড় নেতা। খালেদা জিয়া বড় নেতা না আমি বড় নেতা? আমি বড় নেতা।’
বুধবার (১২ ডিসেম্বর) নড়াইলে এক মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি কোরআনের কথা বলবো, তুমি আমাকে বাধা দিবে, লড়াই বাঁধবে। আমি মরলে জান্নাতে যাবো আর কোরআনের কথা বললে বাধা দিতে গিয়ে তুমি মরলে জাহান্নামে যাবে। নমনীয় আমি হবো কেনো? আমি যেখানে মরলে শহীদ বাঁচলে গাজী, মরে গেলে জান্নাতে যাবো, আমি মাথা নত করবো কোন দুঃখে? মাথা তো তোমাকেই নোয়াতে হবে। যদি তুমি নিজের কপালে ভালো চাও মাথা নুয়ায়ে ভালো হয়ে সামনে চলে আসো।’

তিনি নসিহত করে বলেন, ‘এটা হলো নসিহত। এ পরাজিত শক্তির প্রতি নসিহত হলো এই, আপনাদের বিগত ৫০ বছরের চলার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, আপনাদের সবচেয়ে বড় ভুল আপনারা আলেমদের থেকে আপনাদের ভুল-ত্রুটির সংশোধনের কথা বরদাশত করতে পারেন না। আপনারা চান, সব হুজুর আপনাদের চাটুকারিতা করুক। যারা বিরোধিতা করবে তাদের ঘাড় মটকে দিতে। জেনে রাখুন আপনারা একজন হুজুরের ঘাড় মটকাবেন, সেখান থেকে হাজার হুজুর জন্ম নিবে। পারবেন না, অতীতেও পারেনি। অনেক প্রতাপশালী, অনেক রাজা-বাদশাহ অতিক্রম করে গেছে, যাদের নাম নেয়ার আজ কোনো লোক বেঁচে নেই, আর যারা হকের কথা বলে গেছেন, সত্য কথা বলে গেছেন, কিয়ামত পর্যন্ত তাদের আলোচনা আল্লাহ তাআলা তাদের নাম চমকিয়ে দিয়েছেন।’

মাহফিলে বয়ানের এক পর্যায় মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘শেখ হাসিনা বড় নেতা না আমি বড় নেতা? আমি বড় নেতা। খালেদা জিয়া বড় নেতা না আমি বড় নেতা? আমি বড় নেতা। কারণ আমি খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা থেকে কোরআন হাদিস বেশি পড়াশোনা করেছি। আমি তাদের থেকে নিজেকে উত্তম বলে দাবি করতেছি না। কথা বুঝবেন। আমি বলি না আমি উত্তম। কে উত্তম আর কে অনুত্তম সেটা আল্লাহ পাকের কাছে গেলে তিনি তার ফয়সালা করবেন। আমি দুনিয়ার বিবেচনায় বলতেছি, দুনিয়ায় আলেম উলামা যা বলবেন তা শুনবেন। তাদেরকে নেতা মনে করবেন। কর্মীরা যেভাবে নেতার কথা শুনে। আওয়ামী লীগ করেন, বিএনপি করেন, আলেমদের কথা শুনবেন। পছন্দ হলে শুনবেন, পছন্দ না হলে লেজগুটিয়ে পালিয়ে যাবেন।’

তিনি বলেন, ‘খবরদার, কোনোদিন কোনো আলেমের সামনে মাথা উঁচু করে আলেমদের কোনো কথার প্রতিবাদ করার চেষ্টা করবেন না। যদি কোনো আলেমের কথা ভুল মনে হয়। তাহলে অন্য আলেমের কাছে যাবেন, যদি ভুল হয়, তাহলে অন্য আলেম ভুল ধরিয়ে দিবেন। আপনি ভুল ধরাতে যাবেন না। এ ভুল কাজটাই আওয়ামী লীগ ৫০ বছর ধরে করেছে। করতে করতে আওয়ামী লীগ যারা করতো, করে, তাদের গোশত হাড্ডি, রক্তের সঙ্গে এ সমস্যা মিশে গেছে। আর এক মাঠে রাজনীতি করতে করতে বিএনপির মধ্যেও এ সমস্যা আস্তে আস্তে সংক্রমিত হতে শুরু করেছে।’

বয়ানের শেষে তিনি বলেন, ‘আপনারা ভালো হয়ে যান, সবাই ভালো হয়ে যাবে। এখন বাংলাদেশটা ভালো হওয়ার উপযোগী। আল্লাহপাক সবাইকে ভালো হওয়ার তাওফিক দান করুন।’